দিকের সাহিত্য | দৈনিক দিকের বার্তা




আরশোলা-টিকটিকি লড়াই

দেবব্রত মাজী


নামটি আমার আরশোলা

ঢুকি গৃহস্তের দরজা খোলা।

                 টিকটিকি নামটি আমার

                 থাকি সদা ঘরের ভিতর।

নোংরা অন্ধকারে আমি থাকি

পারেনা ধরতে কেউ আমাকে।

                 নাগালের বাইরে আমি থাকি

                 ধরতে আসেনা কেউ আমাকে।

নিচে আমি থাকতে পারি

বিপদ এলে উড়তেও পারি।

                লম্ফ-ঝম্ফ করতে পারি

               তাইতো শত্রু ধরতে পারি।

থাকি গৃহস্তের চাল আটায়

সাবার করি সদা সবসময়।

              করিনা কোনো ক্ষতি গৃহস্তের

              তাড়ায় না কেউ আমাদের।

ধরতে পারিস আয় নিচে

পালাবো আমি ঠিক বেঁচে।

              রেগে টিকটিকি রঙ পাল্টে

              ধরলো আরশোলাকে ঝাপ্টে।


বৃষ্টিদিনে 

কনক কুমার প্রামানিক 


আকাশ জুড়ে মেঘ করছে

বিদ্যুৎ চমকায়,

ঘর পানে ছুটছে মানুষ

বেজায় দ্রুত পায়।


কালো মেঘের ঘনঘটায়

আকাশ নয় ফর্সা,

ঝুম বৃষ্টি নামবে বুঝি

নেই কোন ভরসা।


মেঘেরা রঙিন খেলা করে 

বিজলি আলো ফেলে,

বৃষ্টিতে ভিজে মাতোয়ারা 

কত দুষ্ট ছেলে।


মুসলধারে বৃষ্টি নামে

আকাশটা ফেঁড়ে,

উদাস মন এমন দিনে

থাকেনা আর ঘরে।


জাবালে নূর হেরা গুহায় 

 গোলাপ মাহমুদ সৌরভ 


মক্কার জাবালে নূর হেরা গুহায় 

খোদার কুদরতি নূরের আলো, 

প্রথম আয়াত যে হলো নাযিল 

হে মুসলমান দেখবে যদি চলো। 

ঐ হাজার হাজার বছর আগে 

পাথরের গায়ে খোদাই করে লেখা, 

আজও সেই কোরআনের আয়াত 

হেরা গুহায় স্বচক্ষে যায় দেখা। 

হে জাবালে নূর তুমি কতো ভাগ্যবান 

তোমার গায়ে লিখা কোরআনের বাণী 

বিশ্ব নবীর স্পর্শে ধন্য হয়েছ তুমি 

তাইতো তোমাকে জাবালে নূর মানি। 

তেইশ বছর ওহী পাঠিয়েছেন প্রভু

নাযিল করেছেন ত্রিশ পারা কোরআন, 

সকল মানব জাতির আলোর দিশারি 

জীবন বিধানের করেছে প্রভু বয়ান।


আলোর পানে ধাও

সাজু কবীর


সকালবেলা আলোর মেলা হাজার বায়ুর কাফেলা,

শান্তিভরা শীতল ধরা নেই কোনো ঝুট্-ঝামেলা।

জবার গায়ে নরম পায়ে ফুল-পোকারা হাঁটে ,

দোয়েল কোয়েল গান ধরেছে খোকন পড়ে খাটে ।

হাঁস-মুরগি সব বাইরে বেড়ায় গাভীর বাছুর নাচে,

পাতার শব্দ মন কেড়ে নেয় গাঁয়ের বটের গাছে।

সবুজপ্রেমী কৃষক ছুটে ফল-ফসলের মাঠে,

ইচ্ছেসুখে ভেসে বেড়ায়  নৌকা নদীর ঘাটে।

সুস্থ শরীর জ্ঞান-গরিমা পেতে যদি চাও,

খুব সকালে জেগে উঠে আলোর 


খুকু মণি

মৃণাল কান্তি সরকার


রোজ সকাল ঘুম থেকে

উঠে খুকু মণি,

দুষ্ট মিষ্টি কথা শুনে

জুড়ায় মন খানি


নিত্য দিনে ধরে সে যে

একটি মাত্র বায়না

কলম খাতা ও বই কিনে

আমায় এনে দাওনা।


মজার ছলে শিখব আমি

পড়ব বর্ণমালা,

সবার সাথে স্কুলে যাবো 

কাটবে সারা বেলা।


তোমার খুকু পড়া লেখা

করতে ভালোবাসে

পড়ালেখা করলে জানো

সুখ জীবনে আসে।


এসো লুকোচুরি খেলি 

পার্থ গোস্বামী


ঝিলের পাড়ে বিলের ধারে

মধ্যবেলা বয়ে গরম হাওয়া,

পথে ঘাটে হাঁসফাঁস মানুষজন

করে আসা যাওয়া।


শুনছো গাছ শুনছো মেঘ এবার

আকাশ জুড়ে বৃষ্টি আসুক,

গরম হাওয়া গরম হাওয়া আর

সহে না মাটি নাহয় ভিজুক।


দুপুর গড়িয়ে বিকেল এলো ওই

শোনো মেঘের গুড়গুড় ডাক,

গরম বাতাস তোমার ছুটি ওই আসে

শীতল হাওয়া ঝাঁকে ঝাঁক।


কালো হয়ে এলো পশ্চিমপাড়

পূব গগনে পাখিদের গুঞ্জন,

সান্ধ্য নামার আগেই করি অভিমানী

গরম হাওয়ার মান ভঞ্জন।


রাতের আকাশ রাতের তারা সাক্ষী

তোমাকেও চাই কারে বলি?

গরম কালের গরম হাওয়া এসো

দুটিতে লুকোচুরি খেলি।


মোচন করো দূষণ 

জাহাঙ্গীর চৌধুরী 


এসেছিল মেঘ বালিকা 

খুকুর সাথে দেখা। 

জিজ্ঞেস করে খুকুকে সে

মুখে কিসের ছ্যাঁকা ? 


খুকু বলে বৃষ্টি দাওনি 

দাহন রাশি রাশি। 

ঘামাচিতে মুখ ভরেছে 

আসে না আর হাসি। 


মেঘ বালিকা দুঃখ পেয়ে 

খুকুর কাছে বলে। 

গ্রিনহাউজ দূর্বল এখন 

গাছ কর্তনের ফলে। 


গাছ লাগিয়ে সারাদেশে 

মোচন করো দূষণ। 

দেখবে তখন নিয়মিত 

বৃষ্টি হচ্ছে বর্ষণ।


নেতা মশাই 

আসাদ সরকার 


আর্দশটা খুবই ভালো 

আমার নেতা মশাই'র

ব্যবহার ঠিক যেমন ভাই 

আবুল মিয়া কশাই'র।


দেশের জন্যে জীবন যৌবন 

করলেন তিনি শেষ,

এই কথাটি সব জায়গায় 

প্রচার করেন বেশ।


নিজের স্বার্থ নিচ্ছে লুটে 

উচিত বললে গর্জে ওঠে

ঘুষের টাকায় পকেট ভরে 

পকেট ভারি তাঁর, 

সামনে এসে বললে কিছু 

আঁধার রাতে নিয়ে পিছু

মটকে দিবেন ঘাড়।

____________________________________________

সম্পাদক ও প্রকাশক: শফিকুল মুহাম্মদ ইসলাম, web.https://dailydikerbarta.blogspot.com/, সাহিত্য  মেইল ঠিনাকাঃ

daily.dikerbarta@gmail.com, অফিস ,৪২/ ক, উত্তরাপাড়া মসজিদ সংলগ্ন, কালাচাঁদপুর গুলশান, ঢাকা থেকে প্রকাশিত।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

দিকের সাহিত্য | দৈনিক দিকের বার্তা